মুলত পাঠচক্র। তবে আনুষ্ঠানিক আয়োজনের নাম আত্মীয় আড্ডা। মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি শিরোনামের প্রথম বারের মতো আয়োজিত এই আড্ডার মূল বিষয় ছিল মানুষ এবং মানবতা। অতিথিদের পরিবেশনায়ও ছিল তেমনিই। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো আড্ডায় ছিল ব্যাতিক্রমের ছাপ।
ডেকোরেটর থেকে ভাড়া করে আনা কাপড় বিছিয়ে বসলো আত্মীয়রা। আর অতিথি আত্মীয়দের বসার জায়গাটাও করা হলো জলসা ঘর এর মতো। তোষক, চাদর বিছিয়ে রাখা হলো বালিশ।
শুরুটাও একটু ব্যতিক্রম। অন্যসব আয়োজনের মতো অতিথরা গিয়ে মঞ্চে বসলেন না। যাদের ডাকা হলো তারাই গিয়ে কথা বললেন, আবৃত্তি করে, গান গেয়ে আড্ডা মাতালেন।
আত্মীয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান সমন্বয়ক Sameer Chakraborty সঞ্চালনায় শুরুটা হলো এই অঞ্চলের শক্তিমান বাচিক শিল্পী মনির হোসেনকে দিয়ে। তার সুরেলা কণ্ঠে আধাঘন্টা যেন মুক্তো ঝরল। প্রেম থেকে শুরু করে দেশপ্রেম কিছুই বাদ যায়নি তার কবিতায়। তাঁর একের পর এক কবিতাবাণে বিদ্ধ তরুণেরা।
পরের কথাতো বলেও বুঝানোরনয়। আড্ডায় উপস্থিত কিংবা ফেসবুক লাইভে যারা ছিলেন মূল্যায়নটা তাদের উপরই ছেড়ে দেয়া ভালো। তবে আড্ডারত কেউ কেউ বলছিলেন, শিল্পীর কাছে বসে এমন মনমুগ্ধকর পরিবেশনা নাকি আর শুনা হয় নি। গাইছিলেন ডা: গুলজার হোসে উজ্জ্বল।পিজি হাসপাতালের এই চিকিৎসক এখন সংগীতাঙ্গেনও ব্যাপক নাম কুড়াচ্ছেন। প্রায়ই আসেন টেলিভিশনে। মানুষ নিয়ে মেতে থাকার মধ্যে যিনি আনন্দ খোঁজে পান।
কথায় মাতিয়ে রেখে সবাইকে অবাক করে দিয়ে গাইতে শুরু করেন ডা: মো. শাহ আলম। আখাউড়ার জনগনের কাছে শাহ আলম ভাই হিসেবে পরিচিত খাগড়াছড়ির এই সিভিল সার্জনের পরিবেশনা ছিলো মনে রাখার মতো। বার বার ওয়ান মোর বলে চলছিল শ্রোতারা। তবে সময়ের দিকে চেয়ে নামাতে হলো পর্দা।
ছন্দ বলে মিনিট পাঁচেক আড্ডা মাতিয়ে রাখেন ছন্দের রাজা স্বপন মিয়া। নবীনগরের এই সন্তানকে একটি শব্দ বললেই তা দিয়ে ছন্দ তৈরি করে শুনিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিন অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, আত্মীয় Khairul Bashar, আত্মীয় সমন্বয়ক Sk Dipu, Sujan Saha, হৃদয় দেব, Minul Islam, Rakiba Habib Auyon, Priya Das। ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো হলো ভারতের আগরতলায় গিয়ে রক্ত দিয়ে সুনাম কুড়িয়ে আসা বাচিক শিল্পী বাছির দুলাল এবং ২৮ বার রক্ত দেয়া আত্মীয় স্কুল শিক্ষক মনিরুল ইসলামকেও।
সবশেষে আড্ডা নিয়ে অনুভুতি প্রকাশ করেন,সিনিয়র সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু , বাচিক শিল্পী বাছির দুলাল,ছাত্রনেতা মোবাশ্বির হাসান, শাহাব উদ্দিন বেগ, আশিকুর রহমান নাঈম, লতিফুর রহমান প্রমূখ।
পরে ভুনা খিচুরী আর মোরগ মাংসে চলে আপ্যায়ন পর্ব এবং ফটো সেশন।