121101378_345449386705562_4722323767315037349_n
121107113_345449786705522_8450385978940882378_n
121108634_345449710038863_3858415740191125108_n
121119202_345449540038880_6892182603388536700_n
121146689_345449313372236_6686138470635893644_n
121147112_345449610038873_642707968278832663_n
121489332_345449450038889_5847411771218999473_n
121633702_345449666705534_1928742332719491205_n
Exit full screenEnter Full screen
previous arrow
next arrow
Shadow

আত্মীয়ের উদ্যোগঃ চিকিৎসা পেল সুবিধাবঞ্চিত জহির।

আত্মীয়ের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত সেই জহিরের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত শনিবার সকালে আত্মীয়ের সংগঠক আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: শুভ্র রায় এবং আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আর.এম.ও) ডা: শ্যামল ভৌমিক তাকে চিকিৎসা দেন। এসময় জিৎ মেডিকেল সেন্টারে বিনামূল্যে তার ইসিজি, এক্সরে রক্তসহ বেশকিছু পরীক্ষা করা হয়। পরদিন রবিবার সকালে আরেকদফা পরীক্ষার পর তার যক্ষ্মা ধরা পড়ে।
তিনদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকার পর মঙ্গলবার সকালে ১ মাসের ঔষুধসহ তাকে বাড়ি পাঠানো হয়। এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে আমড়া, আপেল, কলা, মালটা আর আঙ্গুর উপহার দেয়া হয়।
ডাঃ শ্যামল ভৌমিক ও ডাঃ শুভ্র রায় জানান, যক্ষ্মা ছাড়াও এ্যাকজিমা এবং পুষ্টিহিনতায় ভুগছে। ৬ মাস নিয়মিত ঔষুধ খেলে যক্ষ্মা ভালো হয়। আত্মীয়ের মাধ্যমে তাঁর সকল ঔষুধ আমরা বিনামূল্যে দেয়ার ব্যবস্থা করবো। তবে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি তার মানসিক পরিচর্যা প্রয়োজন। পরিবার এবং প্রতিবেশিদের এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে হতদরিদ্র জহিরের চিকিৎসার সহায়তা চেয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেন। সাংবাদিক মোঃ আবির বিষয়টি আত্মীয়ের নজরে আনলে সংগঠনের সাথে আত্মীকভাবে জড়িত দুই চিকিৎসক তাকে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জহির মিয়া (৩৫) আখাউড়ার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে। তিনি প্রতিবেশির খড় রাখার একটি একচালা টিনের ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করেন।
শনিবার সকালে আত্মীয়ের প্রধান সমন্বয়ক সমীর চক্রবর্তী, সমন্বয়ক এমআরআই রাকিব, ইমদাদ কিবরীয়া এবং সদস্য দোলন ঘোষ তাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসেন। আত্মীয়ের সমন্বয়ক শেখ দিপু, সুজন সাহা, হৃদয় দেব, আশরাফুল ইসলাম যুবায়েদ ও অনুপ সাহাসহ অন্যরা নিয়মিত তার খোঁজ খবর নেন। মঙ্গলবার সকালে আত্মীয় সদস্যরা বিষয়টি নজরে আনা এশিয়ান টিভির আখাউড়া প্রতিনিধি মোঃ আবিরের উপস্থিতিতে জহিরকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।