














অনুষ্ঠানের কাছাকাছি ছিল রাজনৈতিক কর্মসূচি।
যানবাহন আটকে দেওয়ায় হাঁটতে শুরু করে আত্মীয় সদস্যরা। বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় উঠতে হয়ে পায়ে হেঁটে। তবে ছোট আয়োজন হলেও আত্মীয়ের “ঢাকা সম্মিলনে” উপস্থিতি দাঁড়ায় অর্ধশতাধিক। গান, কবিতা আর কথা মালায় ঢাকায় কার্যক্রম শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সকলে।
এরই মাঝে খবর আসে আত্মীয়ের প্রাণ দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফের মহাপ্রয়ানের। ফলে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ” আত্মীয়ের ঢাকার সম্মিলন”।
শুক্রবার বিকেলের অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ।
অনুষ্ঠান আলোকিত করে তুলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও আখাউড়ার সাবেক সহকারি কমিশনার (ভূমি) জেসমিন সুলতানা, আখাউড়ার কৃতি সন্তান নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাফি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সাজী এবং সাউথইস্ট ব্যাংক এর ফাস্ট এ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
আত্মীয়ের সংগঠক কর পরিদর্শক মো. মহিউদ্দিন মামুনের সভাপতিত্বে এবং আত্মীয়ের প্রধান সমন্বয়ক সমীর চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় বক্তারা আত্মীয়ের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, আখাউড়া আমার প্রাণের জায়গা। আর আত্মীয়ের সাথে আজ আমার হৃদয়ের সংযোগ হলো। মাত্র চার বছরে আত্মীয় অনেক কাজ করেছে, অনেক দূর এগিয়েছে। তবে টিম ওয়ার্ক এর মাধ্যমে তাদের উজ্জীবিত রাখতে হবে।
ঢাকা-আগরতলা আত্মীয় তার কাজ যেভাবে বাড়াচ্ছে সেটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন পপি বলেন, আখাউড়ায় আমার জন্ম না হলেও এই পূণ্যভূমির সাথে আমার হৃদয় জড়িয়ে আছে। আমি আত্মীয়ের শুরুটা দেখেছি৷ তাদের পরিশ্রম দেখেছি। আত্মীয় আমার আপনজন। আত্মীয়ের হয়ে রক্ত দিতে পারলে সেটা হবে আমার জীবনের পরম পাওয়া।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাফি বলেন, আত্মীয় গণমানুষের সংগঠন হিসেবে মানুষের পাশে যেভাবে থাকছে সেটা সত্তি প্রশংসনীয়। তবে যেতে হবে বহুদূর। এই পথ পাড়ি দিতে সদস্যদের নৈতিক এবং আদর্শিকভাবে উন্নত থাকবে বহে। যেতে হবে তৃণমূলে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সাজী বলেন, ‘সোস্যাল মিডিয়ার কল্যানে দেখেছি, যেকোনো মানুষের রক্তের প্রয়োজন হলে, আত্মীয়ের প্রতিটি সদস্য আন্তরিকতার সাথে মুহুর্তের মধ্যেই রক্তের ব্যবস্থা করে দেন, যা অকল্পনীয়! এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে আত্মীয় আজ হয়ে উঠেছে গণমানুষের সংগঠন। ভবিষ্যতে আত্মীয়ের যেকোনো কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পারলে গর্ববোধ করবেন বলে যোগ করেন তিনি।
এসময়, আত্মীয়ের ঢাকার সংগঠক নাহিদ ভূইয়া, সঞ্জয় সাহা, কবি শামীমা আক্তার, এস.এন ইউসুফ, তাহসিন তোহা,মাহবুবুর রহমান, রহমত উল্লাহ নীরব, খেলায়েত হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের বই ও অন্যান্য উপহার দিয়ে বরণ করে নেন আত্মীয় সমন্বয়ক সুজন সাহা, হৃদয় দেব, নূরে আলম চৌধুরী ও দেবালয় ঘোষ। শেষে শুরুের সংগীত পরিবেশন করে সকলকে মুগ্ধ করেন ইব্রাহিম শাওন।
পরে ঢাকায় সাংগঠনিক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পলাশ সাহা সঞ্জয় সাহা এবং রাকিবুল হাবিবকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।