184790701_4396222390390877_6881484959857122011_n
184956115_4396217120391404_8471792543976319979_n
185015320_4396216610391455_1155764120560949195_n
185020507_4396221023724347_7578748928186704632_n
185023900_4396220910391025_4329504151988258689_n
185080222_4396216377058145_6191194847159745736_n
185135897_4396222600390856_2349505708087487465_n
185159075_4396216900391426_8031191505380900649_n
185167496_4396221513724298_8373714315210346996_n
185217501_4396214103725039_5537344878024820306_n
185236347_4396221800390936_6756836752956383700_n
185238074_4396222073724242_2276026003205092454_n
185368679_4396214857058297_2241743111102731179_n
185378698_4396216790391437_8271173298440781006_n
185397194_4396214423725007_6864339536820385342_n
185535065_4396215017058281_5671584546730095910_n
185564456_4396214687058314_7435718347371948701_n
185615521_4396222230390893_5473928034791125038_n
Exit full screenEnter Full screen
previous arrow
next arrow
Shadow

আশা ছিল জনা পঞ্চাশেক মানুষের হাতে ঈদুল ফিতরে ঈদ উপহার তুলে দেব। অন্তত ঈদের দিন একটু ভালো খাবে আমাদের প্রিয়জনরা। আড্ডার স্থলেই দেব দাদা’র আগমন। জানতে চাইলেন কি নিয়ে আলোচনা। শুনেই ঘোষণা ২ হাজার টাকার। বিকেলে সঞ্জয় দা নিজ থেকেই জানতে চাইলেন কয়টা শাড়ি লুঙ্গি দিচ্ছি। দাদাকে বললাম এবারের পরিকল্পনা ভিন্ন। শুনে আশ্বাস দিলেন হাজার পাঁচেক টাকার। পরদিন বিকেলে অফিসে একটা খাম পৌঁছে দিল প্রিয় ছোটভাই ব্যাংক কর্মকর্তা নাঈম খাদেম। খুলে দেখলাম হাজার টাকার তিনটা নোট। সাব্বির ভাই বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দিলেন সম পরিমান টাকা।
আত্মীয়ের সংগঠক এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ হাতে তুলে দিলেন আরও কিছু অর্থ।

দুদিন পরে কথা আত্মীয় সদস্যদের অন্যতম প্রাণের মানুষ অগ্নিবীনা রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাক আহামেদ খাদেম টিটু ভাইয়ের সাথে। এক ধাক্কায় আয়োজন দ্বিগুন করার ঘোষণা তাঁর। প্রস্তাব দিলেন যৌথ আয়োজনের। অগ্নিবীনা ও আত্মীয় মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ১০০ পরিবারকে মোড়গ, পোলাও চাল,তেল পেয়াজ দেয়ার। হাজার চল্লিশেক টাকার কর্মসূচি। ঈদের দিন শত মানুষের মুখে একবেলার খাবার তুলে দিব ভেবে আমাদের খুশির সীমা নেই।

তবে তখনো অপার বিস্ময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। দেশ বিদেশের আত্মীয়ের শুভাকাঙ্ক্ষীরা মন খুলে এগিয়ে এলেন। আমাদের কর্মযজ্ঞ এক লাখ টাকা ছাড়লো।

শক্তি সাহস যোগালেন আত্মীয়ের নিয়মিত রক্তদাতা ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-আলম মহোদয় পরিকল্পনায় হাত লাগালেন। অনন্য এই মানুষটি আত্মীয়কে নিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে।
সোমবার দুপুরে সেখানকার ৬০ পরিবারসহ মোট ৭৫ পরিবার পেল সেমাই,আটা, চিনি, কিচমিচ, প্যাকেটজাত দুধসহ নানা উপহার সামগ্রী। অন্যদিকে ২৩৩ পরিবারের ঘরে পৌছে দেয়া হল আস্ত মুরগি, পোলাও চাল, তেল, পেয়াজ। ধরখার, মোগড়া, দক্ষিন ইউনিয়ন থেকে শুরু করে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রিয়জনদের ঘরে ঘরে এসব সামগ্রী পৌছে দেয়া দুই সংগঠনের সদস্যরা।

এর আগে আত্মীয় সমন্বয়ক শেখ দীপু, সুশান্ত দাস, আশরাফুল ইসলাম, দেবালয় ঘোষ দুলন, আল আমিন নাহিদ, মোহাম্মদ সাকিবুল হাসান, বিথী ঘোষ, মমতা ঘোষ, সামান্তা ঘোষ, রিচি ঘোষ,বাপন সাহা, অনিক চক্রবর্তী মিলে গোটা দিন এসব খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট করলেন।

কেনাকাটা থেকে হিসাবের ঝক্কি ঝামেলা সামলাতে ব্যস্থ আত্মীয়ের সমন্বয়ক সুজন সাহা ও সুদীপ্ত সাহা। টেকনিক্যাল কাজের দায়িত্ব বরাবরের মতোই রাকিবের হাতে।

টিম আত্মীয় ও অগ্নিবীনার সদস্যদের অসাধারণ পরিশ্রম, শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় আমরা আপ্লুত। আমরা কৃতজ্ঞ। সামনের দিনগুলো হবে গণ মানুষের আরো কাছাকাছি। শুভ কামনা

নোট- আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে আলো ছড়ানোর জন্য ধন্যবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম ইমরান, প্রভাষক আরিফুল ইসলাম,আলো ছড়ানোর জন্য ধন্যবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম ইমরান, প্রভাষক আরিফুল ইসলাম, সাংবাদিক দুলাল ঘোষ, অগ্নিবীণা স্কাউট গ্রুপের সহ-সভাপতি সাংবাদিক হান্নান খাদেম, সাংবাদিক কাজী মফিকুল ইসলাম, জুটন বনিক, জালাল হোসেন মামুন,প্রবাসী আল আমিন, অগ্নিবীণার সংগঠক আব্দুল করিম চৌধুরী রাসেলকে।