


















আশা ছিল জনা পঞ্চাশেক মানুষের হাতে ঈদুল ফিতরে ঈদ উপহার তুলে দেব। অন্তত ঈদের দিন একটু ভালো খাবে আমাদের প্রিয়জনরা। আড্ডার স্থলেই দেব দাদা’র আগমন। জানতে চাইলেন কি নিয়ে আলোচনা। শুনেই ঘোষণা ২ হাজার টাকার। বিকেলে সঞ্জয় দা নিজ থেকেই জানতে চাইলেন কয়টা শাড়ি লুঙ্গি দিচ্ছি। দাদাকে বললাম এবারের পরিকল্পনা ভিন্ন। শুনে আশ্বাস দিলেন হাজার পাঁচেক টাকার। পরদিন বিকেলে অফিসে একটা খাম পৌঁছে দিল প্রিয় ছোটভাই ব্যাংক কর্মকর্তা নাঈম খাদেম। খুলে দেখলাম হাজার টাকার তিনটা নোট। সাব্বির ভাই বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দিলেন সম পরিমান টাকা।
আত্মীয়ের সংগঠক এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ হাতে তুলে দিলেন আরও কিছু অর্থ।
দুদিন পরে কথা আত্মীয় সদস্যদের অন্যতম প্রাণের মানুষ অগ্নিবীনা রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাক আহামেদ খাদেম টিটু ভাইয়ের সাথে। এক ধাক্কায় আয়োজন দ্বিগুন করার ঘোষণা তাঁর। প্রস্তাব দিলেন যৌথ আয়োজনের। অগ্নিবীনা ও আত্মীয় মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ১০০ পরিবারকে মোড়গ, পোলাও চাল,তেল পেয়াজ দেয়ার। হাজার চল্লিশেক টাকার কর্মসূচি। ঈদের দিন শত মানুষের মুখে একবেলার খাবার তুলে দিব ভেবে আমাদের খুশির সীমা নেই।
তবে তখনো অপার বিস্ময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। দেশ বিদেশের আত্মীয়ের শুভাকাঙ্ক্ষীরা মন খুলে এগিয়ে এলেন। আমাদের কর্মযজ্ঞ এক লাখ টাকা ছাড়লো।
শক্তি সাহস যোগালেন আত্মীয়ের নিয়মিত রক্তদাতা ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-আলম মহোদয় পরিকল্পনায় হাত লাগালেন। অনন্য এই মানুষটি আত্মীয়কে নিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে।
সোমবার দুপুরে সেখানকার ৬০ পরিবারসহ মোট ৭৫ পরিবার পেল সেমাই,আটা, চিনি, কিচমিচ, প্যাকেটজাত দুধসহ নানা উপহার সামগ্রী। অন্যদিকে ২৩৩ পরিবারের ঘরে পৌছে দেয়া হল আস্ত মুরগি, পোলাও চাল, তেল, পেয়াজ। ধরখার, মোগড়া, দক্ষিন ইউনিয়ন থেকে শুরু করে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রিয়জনদের ঘরে ঘরে এসব সামগ্রী পৌছে দেয়া দুই সংগঠনের সদস্যরা।
এর আগে আত্মীয় সমন্বয়ক শেখ দীপু, সুশান্ত দাস, আশরাফুল ইসলাম, দেবালয় ঘোষ দুলন, আল আমিন নাহিদ, মোহাম্মদ সাকিবুল হাসান, বিথী ঘোষ, মমতা ঘোষ, সামান্তা ঘোষ, রিচি ঘোষ,বাপন সাহা, অনিক চক্রবর্তী মিলে গোটা দিন এসব খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট করলেন।
কেনাকাটা থেকে হিসাবের ঝক্কি ঝামেলা সামলাতে ব্যস্থ আত্মীয়ের সমন্বয়ক সুজন সাহা ও সুদীপ্ত সাহা। টেকনিক্যাল কাজের দায়িত্ব বরাবরের মতোই রাকিবের হাতে।
টিম আত্মীয় ও অগ্নিবীনার সদস্যদের অসাধারণ পরিশ্রম, শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় আমরা আপ্লুত। আমরা কৃতজ্ঞ। সামনের দিনগুলো হবে গণ মানুষের আরো কাছাকাছি। শুভ কামনা
নোট- আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে আলো ছড়ানোর জন্য ধন্যবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম ইমরান, প্রভাষক আরিফুল ইসলাম,আলো ছড়ানোর জন্য ধন্যবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম ইমরান, প্রভাষক আরিফুল ইসলাম, সাংবাদিক দুলাল ঘোষ, অগ্নিবীণা স্কাউট গ্রুপের সহ-সভাপতি সাংবাদিক হান্নান খাদেম, সাংবাদিক কাজী মফিকুল ইসলাম, জুটন বনিক, জালাল হোসেন মামুন,প্রবাসী আল আমিন, অগ্নিবীণার সংগঠক আব্দুল করিম চৌধুরী রাসেলকে।