












কেউ ডিমের খোসা ছোলানোয় ব্যস্ত। কেউ পেঁয়াজের খোসা। কেউবা ব্যস্ত মুরগি কাটায়। চুলায় রান্নার কাজেও এগিয়ে গেছে অনেকের হাত। যে যেভাবে পারে সেভাবেই সহযোগিতা করে গেছে বেশ আনন্দ নিয়ে।
আপাতদৃষ্টে হবে হবে এটা কোনো একটা পিকনিকের আয়োজন। ব্যাপারটা আসলে এমন ছিলো না। খাবার তৈরি কাজে যে গোটা চল্লিশেক হাত কাজ করেছে তাঁরা কিন্তু নিজেদের জন্য খাবারটা তৈরি করে নি। খায় নি। এরপরও তৃপ্তির ঢেঁকুর নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা।
এই ঈদে যাদের আনন্দ চুপসে আছে সেই আত্মীয় খোঁজে বের করে তাঁদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে মানবিক সংগঠন ‘আত্মীয়’। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী, ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী চার শতাধিক মানুষের কাছে হাজির হয় ডিম ভুনা আর মুরগির বিরিয়ানি নিয়ে।
শুক্রবার দুপুরে নয়টি টিমে ভাগ হয়ে আত্মীয়ের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আখাউড়া সড়ক বাজার, বড় বাজার, রেলওয়ে স্টেশন, গাজীর বাজার, আখাউড়া বাইপাস সড়ক, খড়মপুর মাজার, লাল বাজার, শান্তিনগর এলাকায় যান। খাবারের প্যাকেট তুলে দেন সুবিধাবঞ্চিতদের হাতে।
স্বগীয় পিতার শান্তি কামনায় খরচের পুরো দায়িত্ব তুলে নেন আত্মীয়ের সংগঠক সুশান্ত দাস।
এসময় উপস্থিত থেকে আত্মীয় সদস্যদের প্রেরণা যোগান স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. শাহ আলম, আত্মীয়ের রক্তবীর আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা। এর মধ্যে ডা. শাহ আলম হাসপাতাল এলাকায় এবং পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল সড়ক বাজার এলাকায় খাবার বিতরণ করেন।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শ্যামল ভৌমিক, আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারণ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও আত্মীয়ের সংগঠক শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক ও আত্মীয়ের সংগঠক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, আত্মীয়ের সমন্বয়ক শেখ দিপু, সুশান্ত দাস, সুজন সাহা, হৃদয় দেব, শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, পিন্স খাদেম, দেবাশীষ ঘোষ হৃদয়, ইমদাদ কিবরিয়া, সঞ্জয় সাহা, অনুপ সাহা, রাকিবা হাবিব অয়ন, সুরজিত পাল অর্ণব, মমতা ঘোষ মনি, সামান্তা ঘোষ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সাংবাদিক হান্নান খাদেম, সাংবাদিক আশিষ সাহা, মো. আবিরও কার্যক্রমে অংশ নেন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সমীর চক্রবর্তী ও সমন্বয়ক শেখ দীপু জানান, ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল রোগীসহ আরো আটটি স্থানের সংগঠনের সদস্যরা গিয়ে গিয়ে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। আত্মীয়ের সদস্যরা নিজেরাও রান-বান্নার কাজে অংশ নেন।